আমার সম্পর্কে

আমার ফটো
House: 14, Road: 15, Rupnagar R/A, Mirpur, Dhaka - 1216, Dhaka-1216, Bangladesh
আমাদের লক্ষ্য হলো প্রযুক্তিকে সুক্ষভাবে সংযুক্ত করে আরাম, সুরক্ষা এবং বিনোদনের মাধ্যমে আপনার জীবনযাত্রাকে উন্নত করা।

লাইটনিং প্রটেকশন সিস্টেম (এল পি এস)

আপনার ব্যাক্তিগত এবং সম্পত্তির নিরাপত্তায় বজ্রনিরোধক স্থাপন করুন

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের এই বাংলাদেশ। ঋতুবৈচিত্রের কারনে আরামদায়ক পরিবেশ এবং অন্যান্য সুবিধায় বিশ্বের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম একটি আবাসভুমি ষড়ঋতুর এই দেশ। তবে ঋতুবৈচিত্রের সুফলের পাশাপাশি কালবৈশাখী, বন্যা, সাইক্লোন ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাধ্যমে কুফলও ভোগ করতে হয় দেশবাসীকে। বিগত কয়েক দশকে আরো একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মহামারী আকারে দেখা দিয়েছে তা হল বজ্রপাত (Lightning Strike)। আমাদের দেশে বজ্রপাতের সংখ্যা, মাত্রা ও ব্যাপকতা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। শুধু মাত্র গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালেই বুঝা যাবে কেন এটাকে মহামারী বলা হচ্ছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের এক গবেষণা মতে, বিগত দশ বছরে বজ্রপাতের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ১৮,০০ এর অধিক মানুষ। এর মধ্যে ২০১২ সালে মারা গেছে সর্বাধিক ৩০১ জন; ২০১৬ সালে মে মাসের ২য় সাপ্তাহে প্রায় ৮১ জন লোকের প্রাণহানির ঘটনা পত্রিকায় এসেছে। শুধু তাই নয় বিশ্বে প্রতিবছর গড়ে প্রায় চার হাজার লোকের প্রাণহানির জন্য দায়ী বজ্রপাত।

গবেষকরা বলেছেন, বিশ্বজুড়ে বছরে প্রায় দুই কোটি ৫০ লাখ বার বজ্রপাত সংঘটিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক এক গবেষণা জানাচ্ছে, বিশ্বে বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয় বাংলাদেশে, আশঙ্কার কথা হল দিন দিন প্রাণহানির ঘটনা বাড়ছেই। বাংলাদেশে প্রতি মার্চ থেকে মে পর্যন্ত প্রতি বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ৪০ বার বজ্রপাত হয়। বিজ্ঞানীদের বিশ্লেষণে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনের কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত বলেই বাংলাদেশকে বজ্রপাত প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নতুন নতুন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, বিশ্বে যে হারে উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে বজ্রপাতের হার বাড়বে বর্তমানের তুলনায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত। বৃষ্টিপাতের তীব্রতা ও মেঘের প্লাবতা পরিমাপের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালেফোর্নিয়ার জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

বজ্রপাত কীভাবে হয়? এটি নিঃসন্দেহে একটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন। সকলের বুঝার সুবিদার্থে এবং লেখার কলেবর সীমিত রাখার জন্য এটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় যাব না। বজ্রপাত এর মূল উৎস হচ্ছে বায়ুমন্ডলে প্রবাহমান মেঘমালা। বাতাসে ভাসতে ভাসতে মেঘ ঘনীভূত হবার পাশাপাশি আয়নিত বা চার্জ (Charge) হতে থাকে। এই প্রক্রিয়ায় ধনাত্মক চার্জ (Positive Charge) মেঘের উপরের দিকে এবং ঋনাত্মক চার্জ (Negative Charge) নিচের দিকে জমা হতে থাকে। এভাবে বিশাল মেঘে বিপুল পরিমান বৈদ্যুতিক আয়ন বা চার্জ জমা হয়। মেঘের নিচের দিকে থাকা ঋনাত্মক চার্জ মেঘ বরাবর ভুপৃষ্ঠের ইলেক্ট্রনকে বিকর্ষণ করে ফলে উক্ত অঞ্চল ধনাত্মক আধানে আহিত হয়। বিশাল চার্জের কারনে বাতাস আয়নিত হয়ে ডাই-ইলেক্ট্রিক (Dielectric) আচরণ করে। ফলে মেঘে জমা থাকা চার্জ আয়নিত বাতাসকে পথ হিসেবে ব্যবহার করে ভুপৃষ্ঠে ডিসচার্জ (Discharge) হয়। এই ঘটনাকেই আমরা বজ্রপাত হিসেবে দেখে থাকি।

ভূমি থেকে ৩ মাইল দূরত্বের বজ্রপাত (lightning strike) গড়ে এক বিলিয়ন থেকে ১০ বিলিয়ন জুল শক্তি উৎপন্ন করে। একটি ১০০ ওয়াট বাল্ব ১ সেকেন্ড জ্বালাতে শক্তি খরচ হয় ১০০ জুল। সে হিসাবে, ১০ বিলিয়ন জুল শক্তি দিয়ে ওই বাল্বকে ১১৬০ দিন বা প্রায় ৩৯ মাস অবিরাম জ্বালানো যাবে। বৈদ্যুতিক শক্তি পরিমাপক একক “কিলোওয়াট-আওয়ার” হিসেবে এ শক্তি ২৭,৮৪০ কিলোওয়াট-আওয়ার। বাংলাদেশে একটি পরিবার গড়ে প্রতি মাসে প্রায় ১০০- ১৫০ ইউনিট (কিলোওয়াট-আওয়ার) বিদ্যুৎ ব্যাবহার করে। তার মানে একটি বজ্রপাতের বিদ্যুৎ শক্তি জমা করতে পারলে একটি পরিবার ১৮৫ মাস বা, প্রায় ১৫ বছর বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ ব্যাবহার করতে পারবেন। চাইলে আপনিও বজ্রপাতকে ট্র্যাপে ফেলে বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ ব্যাবহারের সুযোগ লুফে নিতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে বজ্রপাত ঘায়েল করতে আপনি সময় পাবেন এক সেকেন্ডেরও কম (কারণ বজ্রপাতের পুরো প্রক্রিয়াটি ঘটে এক সেকেন্ডেরও কম সময়ের মধ্যে)

থেমে নেই বিজ্ঞানীরা, বজ্রপাত থেকে উৎপন্ন বিপুল পরিমাণ তড়িৎ শক্তিকে ধারণ করে বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের বিষয়ে বিজ্ঞানীরা উৎসাহী হয়ে উঠেছেন এবং তা বাস্তবায়িত করে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তবে এই বিদ্যুৎ ব্যাবহারের চেয়ে এর থেকে নিরাপদ থাকার জন্য বেশি সংখ্যক বিজ্ঞানী প্রযুক্তিবিদ নিয়োজিত রয়েছে। কারন ব্যাপক ধ্বংসক্ষমতা সম্পন্ন একটি বজ্রপাতের কারনে আপনার স্থাপনায় আগুন ধরে যেতে পারে, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নষ্ট করে দিতে পারে, এমনকি কনক্রিটের স্থাপনায়ও ফাটল ধরিয়ে দিতে পারে। উঁচু খুটি বা গাছের উপর আঘাত হানলে তাতে আগুন ধরে যায়, মানুষ বা পশুর উপর বজ্রাঘাতে (Thunder Strike) মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।

Thunder is in Slow Motion

বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকতে করণীয়: মোবাইল ফোনে আবহাওয়া সম্পর্কিত অ্যাপস ব্যাবহার করে বজ্রপাত সম্মপর্কে অগ্রীম ধারনা পেতে পারেন। বজ্রঝড় সাধারণত ৩০-৪৫ মিনিট স্থায়ী হয়। এ সময়টুকু ঘরে অবস্থান করা। গভীর ও উলম্ব মেঘ (Vertical Cloud) দেখা দিলে ঘরের বাইরে বের না হওয়া। বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা বা মাঠ অথবা উঁচু স্থানে না থাকা। বজ্রপাতের আশঙ্কা হলে যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নেয়া। উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি (Electric Pole) ও তার, ধাতব খুঁটি (Metal Pole) ইত্যাদি থেকে নিরাপদ দূরে থাকতে হবে। বজ্রপাতের সময় ধাতব হাতলযুক্ত ছাতা থাকলে তা বন্ধ করে ফেলা। এগুলো আপনাকে বজ্রপাতের কবলে পড়লে তাৎক্ষনিক ভাবে সয়হতা করবে।

বজ্রপাতে ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা ছাড়াও স্থাপনা তথা আপনার ঘড় বাড়ি বা দালানকোঠা রক্ষায় অবশ্যই আপনাকে বজ্রপাত নিরোধক ব্যাবস্থা (Lightning Protection System-LPS) স্থাপন করতে হবে। বাংলাদেশ ইমারত নির্মাণ বিঁধিমালা ২০০৬ (BNBC 2006) অনুযায়ী প্রত্যেক স্থাপনায় ঝুকি সুচক পরিমাপ (Risk Index Calculation) সাপেক্ষ বজ্রনিরোধক ব্যাবস্থা স্থাপন করতে হবে। বিঁধিমালায় ম্যাশ কন্ডাকটর (Mesh Conductor) ব্যাবস্থার কথা সুপারিশ করা আছে যা বিশ্বব্যাপি স্বীকৃত একটি পদ্ধটি। আমেরিকান ন্যাশনাল ফায়ার এসেম্বলি (NFPA), ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড (BS) সহ অনেক দেশীয় (e.g. AUS/NZ) এবং আন্তর্জাতিক (e.g. IEEE) স্ট্যান্ডার্ড এ ম্যাশ কন্ডাক্টর ব্যাবস্থার সুপারিশ করা হয়েছে। একটি আদর্শ ম্যাশ কন্ডাকটর বজ্রনিরোধক ব্যাবস্থায় বজ্রনিরোধক দন্ড (Strike termination device/Air Terminal), ম্যাশ কন্ডাকটর (Mesh Conductor), নিম্নগামী পরিবাহী (Down Conductor), গ্রাউন্ড ইলেকট্রড (Ground Electrode) এবং ইকো-পটেনশিয়াল বন্ডিং (Equipotential Bonding) ইত্যাদি থাকে।

এই বজ্রপাত থেকে নিজেকে রক্ষা করবার মত যথেষ্ট প্রযুক্তিগত উন্নয়ন আমরা করতে পেরেছি। যাকে বলা হচ্ছে Lightning protection system; এর দুটি পদ্ধতি, একটি conventional আরেকটি ESE (Early Streamer Emission)। এগুলো আমাদের মত দুর্যোগ প্রবণ দেশে খুবই দরকারি। আর সেটা অনুধাবন করেই Niotech Ultra Engineering Ltd. শুরু থেকেই এসব সিস্টেম বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে। যা আপনি পেয়ে যাচ্ছেন মুহূর্তের মধ্যেই।

আপনার বাসা-বাড়ি, প্রতিষ্ঠান, ফ্যাক্টরি ও এর মূল্যবান সরঞ্জামাদি বজ্রপাত এর কঠিন আঘাত থেকে রক্ষা করতে কথা বলুন আমাদের বজ্রপাত বিশেষজ্ঞ টিমের সদস্যদের সাথে, অথবা মেইল করুন sales@niotech.com.bd তে, বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগেই স্বল্প খরচে আপনার বাড়ি বজ্রপাত সুরক্ষার আওতায় এনে থাকুন নিশ্চিন্তে

"Niotech Ultra Engineering Ltd." বজ্রপাত সুরক্ষায় বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান।

1 টি মন্তব্য:

Thanks for reading!
Share this post with your friends and family.
Please post your valuable feedback in comment section.

Blogger দ্বারা পরিচালিত.