আমার সম্পর্কে

আমার ফটো
House: 14, Road: 15, Rupnagar R/A, Mirpur, Dhaka - 1216, Dhaka-1216, Bangladesh
আমাদের লক্ষ্য হলো প্রযুক্তিকে সুক্ষভাবে সংযুক্ত করে আরাম, সুরক্ষা এবং বিনোদনের মাধ্যমে আপনার জীবনযাত্রাকে উন্নত করা।

লাইটনিং প্রটেকশন সিস্টেম

 সাধারণ জিজ্ঞাসা

এল পি এস কেন প্রয়োজন ?

প্রতিদিন বিশ্বব্যাপী ৪৪,০০০ বজ্র ঝড় ও প্রতি সেকেন্ডে ১০০ টি বজ্রপাত হয়। বজ্রপাতে ভোল্টেজ ১,০০,০০০ KV এবং পিক কারেন্ট ৩০ KA হতে পারে  এবং মোট শক্তি ৪০ GHz পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। বজ্রপাত প্রায় ১০,০০০ ° C এ কাছাকাছি বাতাসে আঘাত করে ও তাপমাত্রা ৫০,০০০ ° C পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। বজ্রপাতের স্ট্রোক দৈর্ঘ্য ১00 মি – ৪ কিমি পর্যন্ত হয় এবং  বজ্রপাত ৬০,০০০ মি / সেকেন্ড গতিতে ভ্রমণ করতে পারে।

ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা ছাড়াও স্থাপনা তথা আপনার ঘড় বাড়ি বা দালানকোঠা, প্রতিষ্ঠান, ফ্যাক্টরি ও এর মূল্যবান সরঞ্জামাদি বজ্রপাত এর কঠিন আঘাত থেকে রক্ষায় অবশ্যই আপনাকে বজ্রপাত নিরোধক ব্যাবস্থা (লাইটনিং প্রটেকশন সিস্টেম - এল পি এস) স্থাপন করতে হবে। বাংলাদেশ ইমারত নির্মাণ বিঁধিমালা ২০০৬ (BNBC 2006) অনুযায়ী প্রত্যেক স্থাপনায় ঝুকি সুচক পরিমাপ (Risk Index Calculation) সাপেক্ষ বজ্রনিরোধক ব্যাবস্থা স্থাপন করতে হবে। এই জাতীয় ব্যবস্থা ব্যতীত কোনও বিল্ডিংয়ের কাঠামো, বৈদ্যুতিন সিস্টেম এবং আশেপাশে বা এর মধ্যে কাজ করা লোকেরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

কোন কোন স্থাপনায় এলপিএস প্রয়োজন ?

বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড (বি এন বি সি) ২২ মিটার উঁচু এবং ৩৩ মিটার উঁচু ভবনের জন্য বাধ্যতামূলক "লাইটনিং  প্রটেকশন সিষ্টেম" স্থাপনের জন্য স্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করেছে।

অ্যাকর্ড বাংলাদেশ (Accord Bangladesh), অ্যালায়েন্স (Alliance), আইএলও ( ILO), নিরাপন (Nirapon) প্রভৃতি বাংলাদেশে কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি প্রতিটি শিল্পকে তাদের সাথে তালিকাভুক্ত হতে এল পি এসকে বাধ্যতামূলক করেছে।

সরকার কি কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে ?

ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স বিভাগ এবং বাংলাদেশ সরকারের গণপূর্ত বিভাগ (PWD) সাধারণ মানুষের মধ্যে বজ্রপাত সচেতনতা এবং বজ্রপাতে সুরক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করছে  

এল পি এস কীভাবে কাজ করে ?

লাইটনিং  প্রটেকশন সিষ্টেম (এল পি এস); বজ্রনিরোধক ব্যাবস্থা মূলত তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত, এর একটির সঙ্গে আরেকটি সংযুক্ত থাকে। প্রথমটি বায়ুমণ্ডলীয় রড বা দণ্ড, যা বজ্রবিদ্যুৎ ধরে থাকে। দ্বিতীয় অংশটি পরিবহন তার, যা বায়ুমণ্ডলীয় রডে বা দণ্ডে ধারণকৃত বজ্রবিদ্যুৎ পরিবহন করে থাকে। তৃতীয় অংশটি ভূমিস্থ রড, যা পরিবাহিত বজ্রবিদ্যুতকে মাটির মধ্যে প্রবেশ করিয়ে নিউট্রালাইজ করে দেয়।

বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ১৭৪৯-১৭৫২ সালের মধ্যে প্রথম লাইটনিং রড ব্যবহার করে বজ্রপাত প্রতিরোধের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। ১৭৭২ সালে ঘুড়ি উড়িয়ে তিনি প্রমাণ করেছিলেন —মেঘের বিদ্যুতই বজ্রপাতের কারণ। পরবর্তী সময়ে চেকোস্লোভাকিয়ার বিজ্ঞানী ডম প্রোকোপ ডিভিস ও.প্রায়েম ১৭৫৪ সালে বজ্রনিরোধক যন্ত্রটিকে উন্নত করেন।

লাইটনিং প্রটেকশন সিস্টেমের কয়টি পদ্ধতি ?

লাইটনিং প্রটেকশন সিস্টেমের দুটি পদ্ধতি, একটি Conventional আরেকটি ESE (Early Streamer Emission); এগুলো আমাদের মত দুর্যোগ প্রবণ দেশে খুবই দরকারি

এল পি এস কি বজ্রপাতকে আকর্ষণ করে ?

রডস এবং সুরক্ষা সিস্টেমগুলি বজ্রপাতকে আকর্ষণ করে না বা বজ্রপাত কোথায় হবে সেটাকে প্রভাবিত করে না।

কোন মন্তব্য নেই

Thanks for reading!
Share this post with your friends and family.
Please post your valuable feedback in comment section.

Blogger দ্বারা পরিচালিত.