আমার সম্পর্কে

আমার ফটো
House: 14, Road: 15, Rupnagar R/A, Mirpur, Dhaka - 1216, Dhaka-1216, Bangladesh
আমাদের লক্ষ্য হলো প্রযুক্তিকে সুক্ষভাবে সংযুক্ত করে আরাম, সুরক্ষা এবং বিনোদনের মাধ্যমে আপনার জীবনযাত্রাকে উন্নত করা।

বজ্রপাতে ২০১৮ সালে ৪৪৯ জনের মৃত্যু: আইডিইবি

আইডিইবি’র গবেষণায় প্রাণহানির পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়, বজ্রপাতে ২০১৫ সালে ২৭৪ জন, ২০১৬ সালে ৩৮৭ জন, ২০১৭ সালে ৩৭২ জন এবং ২০১৮ সালে ৪৪৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

বজ্রপাতে বাংলাদেশে প্রতি বছর নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। ২০১৮ সালে ৪৪৯ জন বজ্রপাতে মারা গেছেন বলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) তাদের পরিসংখ্যানে তুল ধরেছে।


রোববার ঢাকার কাকরাইলে আইডিইবি আয়োজিত ‘বজ্রপাতজনিত ভয়াবহতা মোকাবেলায় করণীয়’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনায় বক্তারা বলেন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব ও বিকাশমান অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রেক্ষিতে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদির বহুমাত্রিক ব্যবহারের কারণে আশংকাজনক হারে ঘটছে প্রাণহানি।


আইডিইবি’র গবেষণায় প্রাণহানির পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়, বজ্রপাতে ২০১৫ সালে ২৭৪ জন, ২০১৬ সালে ৩৮৭ জন, ২০১৭ সালে ৩৭২ জন এবং ২০১৮ সালে ৪৪৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এদের অধিকাংশই প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। যাদের মধ্যে প্রান্তিক কৃষক ৩৪ ভাগ, নির্মাণ শ্রমিক ২৬ ভাগ, পথচারী ৯ ভাগ, সামরিক কাজে চার ভাগ করে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ২৩ ভাগ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে।


উত্থাপিত প্রবন্ধে বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ২২টি সুপারিশ করা হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- হাওড় অঞ্চলে সুরক্ষা জোন তৈরি করা, বিদ্যুতের এইচপিসি পোল, কাঠের খুঁটি, ইস্পাত টাওয়ার ইত্যাদিতে আর্থিং করার সময় অবশ্যই ডাউন কন্টান্ডটর/ আর্থ কন্ট্রিনিউটি ওয়্যার ব্যবহার করা, বজ্রপাত সম্পর্কিত ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি পাঠ্যপুস্তুকে অন্তর্ভুক্ত করা। 

ছবি: ইউএনবি

আলোচনা সভায় আইডিইবির সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সঞ্চালনায় অতিথি আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইডিইবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান। বিষয়ের ওপর পৃথক দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইডিইবি’র রিসার্চ ফেলো মো. ইয়াকুব হোসেন শিকদার ও মো. মনির হোসেন। 

অনুষ্ঠানে অতিথি আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন নিউজ ২৪ এর সাংবাদিক মো. মাহমুদুল হাসান, জনকণ্ঠের নগর সম্পাদক কাওছার রহমান, দৈনিক বর্তমানের চিফ রিপোর্টার মোতাহার হোসেন, ইউএনবির সিনিয়র রিপোর্টার মাসউদুল হক, বিজনেস নিউজ এর চিফ রিপোর্টার মো. মাজহারুল আনোয়ার খান, দৈনিক যুগান্তরের সহকারী সম্পাদক সুচি সৈয়দ, চ্যানেল আই এর সিনিয়র নিউজ এডিটর আদিত্য শাহীন, জিটিভি’র চিফ রিপোর্টার রাজু আহমেদ, বিটিভি’র প্রযোজক মাসুদ এ হাসান, যমুনা গ্রুপের জিএম মো. মিজানুর রহমান, আজাদীর ঢাকা ব্যুরো প্রধান এম ওয়াহিদ উল্লাহ, আমাদের সময়ের স্টাফ রিপোর্টার চপল মাহমুদ, এসএ টিভির স্টাফ রিপোর্টার মিজান আহমেদ প্রমুখ

রোববার দুই জেলায় বজ্রপাতে নিহত ৬

দেশের দুই জেলা চাঁদপুর ও মাগুরায় রবিবার পৃথক বজ্রপাতে শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। চাঁদপুর প্রতিনিধির পাঠানো খবর অনুযায়ী- চাঁদপুরের বড় স্টেশন এলাকায় রবিবার বজ্রপাতে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- সুলতান মিয়ার স্ত্রী অহিদা বেগম (৫৫), তাদের মেয়ে সাইফুল ইসলামের স্ত্রী রেহানা বেগম (২৭), রেহানার ছেলে সাব্বির (৮) এবং মেয়ে সামিয়া (১০)। অহিদা বেগমের বাড়ি কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলায়। মেয়ে রেহানা বেগমের স্বামীর বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার আন্দির পাড় এলাকায়। নিহতের আরেক মেয়ে শাহিদা বেগম জানান, তার মা ও বোনসহ চারজন দুপুরে বড় স্টেশন মোলহেডে পর্যটন এলাকায় ঘুরতে যান। বেলা দেড়টার দিকে হঠাৎ বজ্রপাতে তারা সকলেই আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সবাইকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জেলা প্রশাসক বলেন, নিহতদের পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে।

এদিকে মাগুরা প্রতিনিধি জানিয়েছে, দুপুরে মাগুরা জেলায় বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন মোহাম্মাদপুর উপজেলায় এবং অপরজন মাগুরা সদর উপজেলায় মারা গেছেন। মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, সদর উপজেলার বাশতৈল গ্রামের রহমান মোল্লার ছেলে মসলেম মোল্লা (৬০) দুপুরে বাড়ির পাশে ছাগল আনতে গেলে বজ্রপাতে মারা যান। অপরদিকে মোহাম্মাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারক নাথ বিশ্বাস জানান, ঝামা গ্রামের খসরুজ্জামানের ছেলে বিপ্লব বিশ্বাস (৩০) দুপুরে নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করার সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

Click here to see this news at THE BUSINESS STANDARD

কোন মন্তব্য নেই

Thanks for reading!
Share this post with your friends and family.
Please post your valuable feedback in comment section.

Blogger দ্বারা পরিচালিত.