আমার সম্পর্কে

আমার ফটো
House: 14, Road: 15, Rupnagar R/A, Mirpur, Dhaka - 1216, Dhaka-1216, Bangladesh
আমাদের লক্ষ্য হলো প্রযুক্তিকে সুক্ষভাবে সংযুক্ত করে আরাম, সুরক্ষা এবং বিনোদনের মাধ্যমে আপনার জীবনযাত্রাকে উন্নত করা।

ইন্টারনেট অফ থিংস (IOT)

IOT বা ইন্টারনেট সংযোজিত জিনিসপত্র বা ইন্টারনেট অব থিংস

ইন্টারনেট অফ থিংস হচ্ছে , সব ইলেক্ট্রনিক্স ডিভিসিগুলোর সাথে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক ইন্টারনেট- এর সাথে যুক্ত করা। বিভিন্ন বস্তু বা ডিভাইসে নেটওয়ার্ক ধারনাটি অনেক পুরোনো হলেও ১৯৯৯ সালে ইন্টারনেট অব থিংস এর প্রচলন শুরু হয় ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অটো-আইটি সেন্টারের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী পরিচালক কেভিন অ্যাশটনের মাধ্যমে। পি অ্যান্ড জি কোম্পানির একটি প্রজেক্টে কাজ করার সময় কেভিন সর্বপ্রথম ইন্টারনেট অব থিংস পরিভাষাটি ব্যবহার করেন। তবে ১৯৮৫ সালে জনসম্মুখে প্রথম তুলে ধরেন পিটার লইস । স্যামুয়েল মোর্সর টেলিগ্রাফ আবিষ্কার প্রথম বারের মত মোর্স কোড পাবলিক টেলিগ্রাফ ওয়াসিংটন ডিসি থেকে বাল্টিমোরে পাটাতে সক্ষম হয় যার হাত ধরে শুরু হয় IOT নামক কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিয়ার নতুন পথ । অনুমান করা হয় নিকটবর্তী ভবিষ্যতে 200 বিলিয়ন ডিভাইসের সাথে যুক্ত হতে পারে। যার বাজার মূল্য 80 বিলিয়ন ডলার [অনুমিত]

ইন্টারনেট অব থিংস বা ইন্টারনেট সংযোজিত জিনিসপত্র বলতে বুঝায় দ্রুত বর্ধনশীল এমন একটি নেটওয়ার্ক যেখানে এম্বেডেড সেন্সর ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং পরিবর্তন করা সম্ভব । যেখানে অনেক গুলো ডিভাইস (টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, বাথরুমের কল, দরজার লক থেকে শুরু করে একটা শহরের ট্রাফিক সিগন্যাল, স্ট্রিটলাইট সিস্টেম, GPS) একটা আরেকটার সাথে ইন্টারনেট দ্বারা যুক্ত থাকবে এবং তাদের মধ্যে ডাটা আদান প্রদান করে

ইন্টারনেট কানেক্টেড ডিভাইস বলতে আমরা এখনও বুঝি আমাদের পিসি, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, স্মার্টফোন এসবই। নতুন নতুন ফিচার সংযুক্ত করে IOT স্মার্টফোনকে আরো স্মার্ট করে তুলছে । কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে এখন অন্যান্য অনেক কিছুই ইন্টারনেট সংযুক্ত হয়ে পড়ছে এবং পড়বে । ইমার্কেটারের তথ্যসূত্র অনুযায়ী, গোটা দুনিয়াতে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ইতোমধ্যে ২ বিলিয়ন পার করেছে

প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান এবং বিশেষজ্ঞরা IOT ধারণাটি নিয়ে বহু বছর ধরে আলোচনা করে যাচ্ছেন। ১৯৮৯ সালে সর্বপ্রথম ইন্টারনেট সংযুক্ত টোস্টার উন্মোচন করা হয় যার মাধ্যমে আইওটির অগ্রযাত্রা শুরু হয় । ১৯৯৩ সালে প্রথম জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার হিসাবে ‘মোজাইক’ এর আত্মপ্রকাশ করে।

IOT সম্পর্কিত জিনিস হিসেবে স্মার্ট ফ্রিজের কথা বলা যেতে পারে । আইওটি প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করা গেলে স্মার্ট ফ্রিজ হবে এমন একটি যন্ত্র যা নিজ থেকেই ভেতরে প্রয়োজনীয় খাদ্য আছে কিনা তা শনাক্ত করতে সক্ষম হবে, এক্ষেত্রে ফ্রিজের ভেতরে ক্যামেরা স্থাপন করা হবে যা ফ্রিজের ভেতরের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে গ্রাহককে টেক্সটের মাধ্যমে সামগ্রিক অবস্থা জানাবে।

শুধু তাই নয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও IOT এর সাথে সম্পর্কিত। IOT এখন শুধুমাত্র ডাটা সংগ্রহ করে সার্ভারে প্রদান করছে, কিন্তু এখন আমরা দ্বিতীয় ধাপে দেখতে পাচ্ছি যেখানে এই সেন্সর গুলো থেকে লব্ধ তথ্য গুলিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এটাকে যাচাই করতে পারবো। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্যাটার্ন গুলোকে পর্যবেক্ষন করে দেখবে এখানে কোন এলার্ট বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে কিনা।

বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এর গুরুত্ব অনুধাবন করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে । বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পসহ মিরপুরে আইওটি ল্যাব নির্মাণের জন্য অনুদান দিয়েছেন। সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডাটা-সফট বাংলাদেশ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আইওটি নিয়ে বড় ধরণের প্রকল্প হাতে নিচ্ছে । সুইডেনের নেটওয়ার্ক সেবাদাতা একটি প্রতিষ্ঠান এরিকসন বাংলাদেশের জন্য ‘ইন্টারনেট অব থিংস’ নামের একটি পোর্টাল চালু করেছে।

বর্তমান বিশ্বে IOT সবত্রে ছড়িয়ে রয়েছে। স্মার্টফোন থেকে শুরু করে কম্পিউটার ,ল্যাপটপ,কফি মেশিন সবক্ষেত্রে IOT এর প্রভাব অতুলনীয়। আজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এমন এক ধাপে এসেছে পৌঁছেছে যেখানে কিনা পৃথিবী হাতের মুঠোয় নয়, বরং আঙ্গুলের ডগায় এসে গিয়েছে। যা মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ থেকে সহজতর করে তুলেছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব দিন দিন বেড়ে চলছে।

Discover us at: niotech.com.bd

1 টি মন্তব্য:

Thanks for reading!
Share this post with your friends and family.
Please post your valuable feedback in comment section.

Blogger দ্বারা পরিচালিত.